রাজবাড়ীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে এক তরুণীকে শুক্রবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন যুবককে রোববার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানির অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার দুপুরে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তিনজনই ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
শুক্রবারের ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবক হলেন অটোরিকশাচালক রানা মোল্লা (২৪) ও তাঁর দুই সহযোগী মামুন মোল্লা (২০) ও হান্নান সরদার (২৬)। রানা ও হান্নান রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিসপুর গ্রামের বাসিন্দা। আর মামুনের বাড়ি খানখানাপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামে।
র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানির অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার দুপুরে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তিনজনই ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
শুক্রবারের ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবক হলেন অটোরিকশাচালক রানা মোল্লা (২৪) ও তাঁর দুই সহযোগী মামুন মোল্লা (২০) ও হান্নান সরদার (২৬)। রানা ও হান্নান রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিসপুর গ্রামের বাসিন্দা। আর মামুনের বাড়ি খানখানাপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে রোববার সকালে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী একজন চিকিৎসক। গত শুক্রবার তিনি ঢাকা থেকে তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের গোয়ালন্দ মোড় এলাকা থেকে ফরিদপুর যাওয়ার জন্য সন্ধ্যা সাতটার দিকে গাড়ি খুঁজছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফরিদপুরের শিবরামপুরে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে অটোরিকশাচালক রানা মোল্লা তাঁকে গাড়িতে তোলেন। ওই অটোরিকশায় আগে থেকেই ছিলেন রানার দুই সহযোগী মামুন ও হান্নান। পথে মজলিশপুর এলাকায় নির্জন স্থানে যাওয়ার পর তরুণীকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে চালক রানাসহ তাঁরা তিনজন ধর্ষণ করেন। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আরও তিন-চারজনকে ডেকে আনা হয়। তাঁরাও ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। ওই তরুণী স্থানীয় এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরদিন শনিবার সকালে তিনি ফরিদপুরে র্যাবকে বিষয়টি জানান।
রাজবাড়ী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দুপুরে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুশীল কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, তরুণীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের ঘটনা সত্য। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে রাজবাড়ী জেলা মহিলা পরিষদ ও প্রথম আলো বন্ধুসভা। মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সবিতা চন্দ্র গুহ ও বন্ধুসভার সভাপতি শামীমা আক্তার মুনমুন ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তাঁরা।
Post a Comment