মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত হন তাঁর জন্য। সঙ্গম একটি শারীরিক প্রক্রিয়া হলেও, তাঁর নেপথ্যে ক্রিয়াশীল থাকে মনও। ঠিক তাই মনের মিলন না হলে সঙ্গমের পুরো আনন্দই মাটি হয়ে যাবে। শরীর নয়, বরং মনই দীর্ঘস্থায়ী করে সঙ্গমের মুহূর্ত গুলকে। তার সাথে অবশ্যই থাকে নারী এবং পুরুষের শারীরিক সক্ষমতাও। চলুন দেখে আসি ঠিক কতটা দীর্ঘ সঙ্গম চান মহিলারা আর পুরুষরাই বা ঠিক কতটা সময় পছন্দ করেন?
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এল তার কিছু তথ্য। সেই সমীক্ষার ফলাফল জানাচ্ছে, পুরুষদের তুলনায় নারীরাই বেশিক্ষণ সঙ্গম প্রত্যাশা করেন। সারা পৃথিবীর নারীরাই এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বেই মহিলারা চান সঙ্গম হোক ২৫-মিনিট-৫১ সেকেন্ড মতো। অর্থাৎ বেশ দীর্ঘক্ষণই কাটুক সঙ্গমে, এমনটাই চাওয়া তাঁদের। অন্যদিকে পুরুষরা কাছাকাছিই আছেন। তাঁদেরও দাবি, সঙ্গম হোক ২৫-মিনিটের মতোই। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডে নারীদের থেকে পিছিয়ে পড়েছে তারা। অধিকাংশ পুরুষই চেয়েছেন সঙ্গম হবে ২৫-মিনিট ৪৩-সেকেন্ডের। যা প্রতিক্রিয়া এসেছে, তার গড় করে এরকম সময়সীমাই দাঁড়াচ্ছে। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, পুরুষ এবং নারী দু’জনেই চান সঙ্গম হোক দীর্ঘ।
কথা হচ্ছে, সারা বিশ্বের পুরুষ এবং মহিলাদের কি এই প্রত্যাশা পূরণ হয়? এতটাই কি দীর্ঘায়িত হয় সঙ্গম? বাস্তবের তথ্য জানাচ্ছে, প্রত্যাশা থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে হয়। এই ব্যাপারে সবথেকে এগিয়ে আছে ইউএসএ। মোটামুটি ১৭-মিনিট ৫-সেকন্ড মতো হয় তাঁদের সঙ্গমের মুহূর্ত। বছর একত্রিশের পুরুষরাই এই সময় পর্যন্ত সঙ্গম ধরে রাখতে সক্ষম হন। একই বয়সে ভারতীয় পুরুষরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের ধারেকাছে আসে না প্রায়। উলটে বয়স বাড়ার সাথে সাথে যৌনতায় পরিণতি বোধ আসে ভারতীয়দের। দেখা যায় ৫০-৫১ বছরের ভারতীয় পুরুষদের সঙ্গমের সময়সীমা অনেকটাই আন্তর্জাতিক মানের। ব্রিটিশ পুরুষরা গোড়ার দিকে একটু কাঁচা থাকলেও, ৩০-শের কোঠাতেই প্রার্থিত সময়সীমায় পৌঁছে যান। গ্লোবাল ট্রেন্ড বলছে, ইন্টারকোর্সের সময়সীমা বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে বিশ্বের পুরুষদের। একটা সময় পরে গিয়ে অবশ্য তা অনেকটা কমেও যায়। তবে এই সমীক্ষা অন্তত জানান দিল, ঠিক কতটা দীর্ঘ সঙ্গম চান পুরুষ এবং নারীরা। গোটা বিশ্বেই দম্পতিদের ক্ষেত্রে এই তথ্য সহায়ক হবে বলেই মনে করছে সমীক্ষাকারী সংস্থাটি।
Post a Comment