0

অসংখ্য উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত একটি শোরুম। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি দামি জামাকাপড় পাঞ্জাবী থরে থরে সাজানো আছে। তার সামনে দাঁড়ানো একজন ট্রাফিক পুলিশ। দোকানের নাম, স্থান, কাল কিংবা পাত্রের পরিচয় কিছুই বোঝার উপায় নেই।
তারপরও এই ছবিটি বলে দিচ্ছে অনেক কথা। লুকিয়ে রাখা অনেক কষ্টের জাল যেন বুনে রেখেছে এই ছবিটি। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগমুহূর্তে যা ফেসবুকে ভাইরাল।
কাঁচঘেরা দোকানটির দিকে অনেকটা অসহায় ভঙিতে তাকিয়ে থাকা ছাতা হাতে সেই ট্রাফিক পুলিশের ছবি শেয়ার দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল এসপি সানি সানোয়ার লিখেছেন, ‘ছবি নয়, ছোট একটি গল্প’। গল্পটি কি সত্যিই ছোট? বলুন তো এই ট্রাফিক পুলিশ বেতন পান কত? ঈদের মুহূর্তে সেই বেতন আর বোনাসের বেশিরভাগ চলে যায় পরিবারের সদ্যস্যদের পেছনে। হয়তো ঈদে তার ছুটিও নেই। সবাই যখন আনন্দ করবে, তিনি তখন ব্যস্ত থাকবেন রাস্তা সামলে রাখতে। এদেশে অনেক আইন আছে, কিন্তু কেউ আইন মানে না। তাই রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে ট্রাফিক পুলিশকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সড়ক সচল রাখতে। দিনশেষে নিজের জন্য ঈদের পাঞ্জাবীটা হয়তো কিনে নেন রাস্তার ফুটপাত থেকেই। কাঁচঘেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শো রুম থেকে বস্ত্র কেনার সামর্থ তার নেই। যদিও এই দেশেই এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা সকালের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর গিয়ে কেনাকাটা করে আবার সন্ধ্যায় চলে আসেন। এটাই দেশের অর্থনৈতিক বৈষ্যম্যের চিত্র। শুধু কি এই ট্রাফিক পুলিশ, এই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনও না খেয়ে থাকে। রাজধানীতে ফুটপাতে কিংবা রেলস্টেশনে শুয়ে থাকা মানুষগুলোর জন্য সিজনল ‘দরদী’ হিসেবে দেখা যায় অনেক সংগঠনকে। তারা দান-খয়রাত করেন; ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়ে ছবি তোলেন। তারপর সেটা সোশ্যাল সাইট কিংবা গণমাধ্যমের পাতায় স্থান পেলেই কাজ সার্থক! কিন্তু কেউ বলেনা, এই মানুষগুলোকে কীভাবে স্বাবলম্বী করা যায়; কীভাবে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো যায়…। এমনটা যদি ভাবা হতো, তাহলে দেশের চিত্রটাই পাল্টে যেত।, ,,,,,,,,,,,,
Next
This is the most recent post.
Previous
Older Post

Post a Comment

 
Top
This is my webpage