0

রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দি জীবনের একমাস পূর্ণ হলো। মিথ্যা, জাল নথি তৈরি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিলে সে দিনই তিনি কারবন্দি হন। গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত : দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সরকারের কোনো ধরনের উস্কানিতে পা না দিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। :    শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, নেত্রী সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের কোনো উস্কানিতে পা না দিতে বলেছেন। এর আগে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে তারা কারাগারে যান। সাাৎ শেষে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে তারা বেরিয়ে আসেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে কারাগারে দেখা করতে যাওয়া নেতাদের মধ্যে ছিলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার। : ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ১২ মার্চের জনসভা নিয়ে খালেদা জিয়া নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। : বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তার সাথে কয়েক দফা দেখা করেছেন।  দেখা করেছেন দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও আইনজীবী। তবে ফলমূলসহ বেগম খালেদা জিয়াকে দেখার জন্য কারাগারে যেতে চাইলে অনেককে ফেরতও পাঠানো হয়। ফেরত দেয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক, চিকিৎসক, পেশাজীবী ও বিভিন্ন প্রতিনিধি দলকে। এর পর তার সাথে পরিবারের সদস্যরা কয়েক দফা সাাৎ করেছেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেন বেগম খালেদা জিয়ার বোনের ছেলে শাহরিয়ার আক্তার ডন, সাজিদ ইসলাম ও ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি মুখলেমা রাজাসহ আরো একজন। ওই দিনই জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ কিছু ফলমূল ও শুকনা খাবার নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে চাইলেও কর্তৃপরে অনুমতি পাননি। কারা ফটকের কিছু দূর আগেই পুলিশ তাদেরকে আটকে দেয়। এ সময় মহিলা দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন আফরোজা আব্বাস, নিলোফার চৌধুরী মনি, হেলেন জেরিন খান, রাশেদা বেগম হীরা, বীথিকা বিনতে হোসাইন প্রমুখ। : ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খালেদা জিয়াকে কারাগারে দেখা করতে যান ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানসহ কয়েকজন। কিন্তু অনুমতি না থাকায় তারাও বেগম খালেদা জিয়ার সাাৎ পাননি। এর আগে গত রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী অধ্যাপকেরা খালেদা জিয়াকে দেখতে কারাগারে যান। কর্তৃপরে কাছে আবেদন করেও তারা সাাতের অনুমতি পাননি। গত ৫ মার্চ কারাগারে দেখা করতে গিয়ে চিকিৎসক প্রতিনিধি দল ফিরে আসেন। : তবে গত সোমবার বিকেলে বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার, স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলেসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য খালেদা জিয়ার সাথে সাাৎ করেছেন। একই দিন দুপুরে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে কারাগারে যেতে চাইলে কর্তৃপ তাদেরকে অনুমতি দেয়নি। এরপর সেখান থেকে ফিরে তারা সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে কারাগারে যেতে চাইলে অনুমতি দেয়া হয়নি। : এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আমরা সিনিয়র আইনজীবী ও নেতৃবৃন্দ দেখা করার জন্য গত রবিবার কারা মহাপরিদর্শকের কাছে আবেদন করেছি। তারা আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন, তবে দেখা করার বিষয়ে কিছুই বলেননি। : বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, এক মাস ধরে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। অন্যায়ভাবে তাকে বন্দি রাখা হয়েছে। আর তার সাথে সাাতের ব্যাপারে অহেতুক কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। : :

Post a Comment

 
Top
This is my webpage