0
মিয়ানমার বলছে, সীমান্তের জিরো লাইনের অবস্থান নেয়া সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ের কাজ করবে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। এতে অন্য কোনো পক্ষকে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ দেয়া হবে না।
রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছে মিয়ানমার। দেশটি বলেছে, সীমান্তের জিরো লাইনের অবস্থান নেয়া সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ের কাজ করবে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। এতে অন্য কোনো পক্ষকে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ দেয়া হবে না।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব (পার্মানেন্ট সেক্রেটারি) মিন্ট থো নেইপিডোতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, উদ্বাস্তুদের পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের কাছে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হবে না- এটা জাতিসঙ্ঘে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। জিরো লাইনে আশ্রয় নেয়া উদ্বাস্তু নেতাদের জানানো হয়েছে তাদের প্রত্যাবাসনের যোগ্যতা রয়েছে কি না তা মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কর্মকর্তরা যাচাই করে দেখবে।
গত মঙ্গলবার মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশ অনুরোধ করেছিল, সাড়ে ছয় হাজার উদ্বাস্তু যেহেতু জিরো লাইনের কাছে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরেই অবস্থান করছে, তাই তাদের পরিচয় যাচাই ছাড়াই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। কিন্তু মিয়ানমার তাতে সম্মতি জানায়নি।
মিন্ট থো বলেন, পরিচয় যাচাই শেষে যোগ্য বিবেচিত হলে উদ্বাস্তুরা তাদের নিজ বাসভূমে ফিরে যেতে পারবে। এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে যাচাই প্রক্রিয়া কখন শেষ হবে তা কেউ বলতে পারে না।
সীমান্তে পরিখা খনন করে মিয়ানমারের সৈন্যরা টহল দিচ্ছে- আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি’র এমন খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা টহল দিচ্ছে এবং সেখানো কোনো সৈন্য মোতায়েন করা হয়নি।
অন্যদিকে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র উ জেও বলেছেন, সীমান্তের জিরো লাইনের কাছে আশ্রয় নেয়া উদ্বাস্তুদের মধ্যে গত আগস্টে মিয়ানমার নিরাপত্তা চৌকিগুলোর ওপর সমন্বিত হামলাকারী চরমপন্থীরা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। মিয়ানমার যে এক হাজার ৩০০ জনকে চরমপন্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে- উদ্বাস্তুদের মধ্যে তাদের কেউ রয়েছে কি না তা যাচাই করা হবে।
মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির লক্ষে জিরো লাইনে অবস্থান নেয়া উদ্বাস্তুদের ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ করে মুখপাত্র বলেন, কিছু গ্রুপ ও সংস্থার কাছ থেকে খাদ্য এবং ওষুধ সরবরাহ পাওয়ার কারণে উদ্বাস্তুরা সেখানে অবস্থান করছে। এ সব উদ্বাস্তুকে ত্রাণ সরবরাহ দেয়া থেকে এনজিওদের বিরত রাখতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Post a Comment

 
Top
This is my webpage